
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবছর রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়তে এসেছে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি মিলিয়ে সম্ভবত সংখ্যাটি ৩০ এর উপরে যা স্বরণকালের মাঝে সর্বাধিক। ব্রিটেনে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশী ছাড়াই উপরোক্ত সংখ্যাটি। বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পৃথিবীর শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তাৎপর্যপূর্ণ।
অক্সফোর্ডে পড়তে আসা অধিকাংশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বিভিন্ন উৎস থেকে স্কলারশিপ ম্যানেজ করে এসেছে।কমনওয়েলথ, কমেনওয়েলথ শেয়ারড, শিভেনিং, পিএম ফেলোশিপ, বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ছাড়াও অক্সফোর্ডের নিজস্ব স্কলারশিপ (প্রায় ১০০০ এর বেশি এই সংখ্যা) তাঁরা নিয়ে এসেছে। এদের মাঝে অক্সফোর্ডের নিজস্ব ফান্ড যাঁরা পেয়েছে তাদেরকে আমি বলি সুপার জিনিয়াস!
অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করতে পারাটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। যারা এখানে পড়তে চায় তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি সেটা হলো, স্বপ্ন! হ্যাঁ, এখানে পড়তে হলে একটা গভীর আকাঙ্খা থাকা দরকার যেটা একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত, অত্যন্ত কম্পিটিটিভ এই ভর্তি প্রক্রিয়া, মনোবল যোগায়। এখানে অধ্যয়নরত ব্রিটিশ, আমেরিকান, ইউরোপিয়ান সবার সাথে কথা বলে আমি দেখেছি তাদের সকলেরই দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো এখানে পড়তে আসার।
অক্সফোর্ডে পড়তে প্রাথমিকভাবে দুটি যোগ্যতা থাকতে হবে-
১. আইইএলটিএস স্কোর ৭.৫, ৭.০০ এর নিচে কোনো মডিউলে নয়।
২. সর্বশেষ একাডেমিক ডিগ্রিতে কমপক্ষে ৭০%-৮০% মার্কস।
ভর্তি হতে চাইলে, এখানে অধ্যয়নরত, কারো সহযোগিতা করার তেমন কোনো ক্ষমতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের কাঙ্খিত বিষয়ে ভর্তির যোগ্যতা ও নিয়মকানুন জেনে আবেদন করতে হবে। সবকিছু অনলাইনে।
এখন আগামী বছরের জন্য ভর্তির কার্যক্রম চলছে। আগামী জানুয়ারী-মার্চ পর্যন্ত এটা চলবে। আশা করি আগামী বছরে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী এখানে পড়তে আসতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। মোঃ মিজানুর রহমান