এক সপ্তাহে বাংলাদেশে কোন ডায়াবেটিস রোগী থাকবেনা যদি এই পরামর্শগুলো মানতে পারেন : ডা. জাহাঙ্গীর কবির

জাহাঙ্গীর কবির

জাহাঙ্গীর কবির

এক সপ্তাহে বাংলাদেশে কোন ডায়াবেটিস রোগী থাকবেনা যদি এই পরামর্শগুলো মানতে পারেন- এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বেশ আলোচিত ও জনপ্রিয় ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ নিজের চেম্বারে আগত শতশত রোগীর কাউন্সিলিং সেশনে উপরিউক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন জাহাঙ্গীর কবির।

ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ফ্রি কাউন্সিলিং সেশনে আগত এবং লাইভে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সকলের মাঝে তার পরামর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তার ভিডিওতে দেয়া পরামর্শ মাত্র ১ সপ্তাহ পুরোপুরি অনুসরণ করলে বাংলাদেশে কোন ডায়াবেটিস রোগী থাকবেনা।

তিনি বলেন, আজকে ডায়াবেটিসের কারণে কত শতশত লোক অঙ্গহানি হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের আঙ্গুল কাটা যাচ্ছে, লিভার নষ্ট হচ্ছে, কিডনি নষ্ট হচ্ছে, চোখ নষ্ট হচ্ছে, স্কিন নষ্ট হচ্ছে, পুরুষালি শক্তি হারাচ্ছে, এনার্জি পাচ্ছে না, দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছে না, ব্যথাবেদনায় ছটফট করছে, নার্ভে ব্যথা হচ্ছে, ব্রেইনের ফাংশন নষ্ট হচ্ছে, মনে থাকছে না সবভুলে যাচ্ছে, ভালোভাবে সে কোনো কিছু কো-রিলেট করতে পারছে না, এত এত সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ডায়াবেটিস মুক্ত করতেই আজকের ভিডিও। তিনি আরো বলেন, মূলত রক্তে চিনি বেড়ে যাওয়াকেই ডায়াবেটিস বলে। যখন আপনি ওষুধ বাদ দিবেন, তখন আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা হয়তো একটু সাময়িক বাড়তে পারে প্রথম কিছু দিনের জন্য। এ কারণে ৭ দিন বললাম। অনেকের বলেছেন, আমাদের পরামর্শ মানার ২/৩ দিনের মধ্যে তাদের ডায়াবেটিস স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। যখন দেখবেন আপনার ওষুধ বাদ দেওয়ার পর ডায়াবেটিসের মাত্রা কমা শুরু করেছে, তখন বুঝবেন আপনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।

তিনি বলেন, কে কী বলেছে সেটা না শুনে আপনি নিজের ওপর ৭টি দিন পরীক্ষা করে দেখেন ডায়াবেটিস থাকে কিনা? প্রতিটি ঘরে ঘরে এই তথ্যটি ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ডায়াবেটিস নির্মূল হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। যদি আপনারা আমার কথাগুলো ঠিকভাবে বুঝেন এবং মানেন। এই ভিডিওটা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করে দেবে ইনশাআল্লাহ।

ডায়াবেটিস মানে হলো রক্তে চিনি বেড়ে যাওয়া। এখন জানতে হবে কী কী ভাবে রক্তে চিনি বাড়ে? চিনি সমৃদ্ধ বা চিনি খেলে রক্তে চিনি বাড়ে। আমরা চিনি কমালে চাইলে চিনি বা চিনি সমৃদ্ধ খাবার বাদ দিতে হবে। আমরা জানি ভাত খেলে আলটিমেটলি রক্তে চিনি বাড়ে। তাহলে ভাত কারা খাবে, যারা রক্তে চিনি বাড়াতে চায়। আর কারা ভাত খাবে না, যারা রক্তে চিনি কমাতে চায়। রুটি খেলে রক্তে চিনি দ্রুত বাড়ে। ভাতের চেয়েও রুটি খারাপ কয়েকটি কারণে। কারণ রুটি পাউডার ফর্মে থাকায় তা দ্রুত চিনিটাকে রক্তে নিয়ে আসে। তাই রুটি ডায়াবেটিস বাড়ার বড় কারণ। তাছাড়া রুটিতে আছে গ্লুটোন যা সবার শরীরে্র জন্যেই খারাপ। দীর্ঘদিন গ্লুটোন খেলে পেটের নানারকমের ক্ষতি হয়। ফলৈ আইবিএস, এলার্জি অনেক কিছু হচ্ছে। ফলেও চিনি আছে। ফলের চিনি ফ্রোকটোজ। অনেক বেশি ফল খেলে ফ্যাটি লেবার হয়। ফল আমরা খাব চিনি কমানোর পরে ডায়াবেটিস থেকে ভালো হলে। এমনকি আমরা ভাতও খেতে পারব। যেমনটি একজন কৃষক পারছেন। কৃষক অনে পরিশ্রম করে এনার্জিটাকে বার্ন করার কারণে রক্তের চিনি বাড়ে না।

যারা ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হতে চাই, তাদের রক্তে চিনি কমাতে হলে এই সাতদিন ভাত রুটি খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। শুধ তাই নয়, ধান-গম থেকে তৈরি সকল খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন বিস্কুট তা চিনি ছাড়া হলেও। যাবতীয় ফ্যাকেটজাত খাবার তথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পয়জন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরের পুরো বক্তব্যের ভিডিও লিঙ্ক

Leave a Comment