
অধ্যাপক ডা. মজিবুল হক
যারা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘাটতি কিংবা স্থুলতায় ভুগছেন, তারা সুগারযুক্ত খাবার খেতে পারবেন না। তাদের চর্বিযুক্ত ক্যালরি নিতে হবে। তারা ভাত, মাংস, সবজি সবই খেতে পারবেন, তবে তা হতে হবে বিশেষ প্রক্রিয়ায়। এই প্রক্রিয়া নিয়েই আমরা জানব।
যেকোনো খাবারই আমরা খেতে পারব, তবে হতে হবে স্বাস্থ্যকর পন্থায়। যারা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, রোগ কিংবা স্থুলতায় ভুগছেন, তারা সর্বপ্রথম সালাদ খাবেন। সালাদে যা খেতে ইচ্ছে করে খাবেন। অনেকে বলে থাইরয়েড হলে ব্রকলি খেতে পারবেন না; এটি সত্য নয়। অর্থাৎ প্রমাণিত নয়। সালাদের মধ্যে অলিভওয়েল, লবণ, গাজর, ব্রকলি, বিট, শসা, টমোটে ইত্যাদি দিতে পারেন।
সালাদ খাওয়ার পরে ভাত খাবেন। যেহেতু আপনি প্রচলিত ভাত খেতে পারছেন না, তাই আপনাকে সুগারমুক্ত ভাত খেতে হবে। সেটি তৈরি করতে হবে ফুলকপি দিয়ে। এটি খেতেও অনেক মজা ও সুস্বাদু। এ ধরনের ভাতে মধ্য ৪০% প্রোটিন আছে। ভাত খাবেন শাক ও মাংস দিয়ে। মাংষ হতে হবে পুরোপুরি ন্যাচারাল। শাক কিংবা মাংস যাই খান না কেন, সেগুলো হতে হবে অর্গানিক। লাল শাক, মুলা শাক, মিষ্টি আলুর শাক, পালং শাকসহ নানা রকমের শাকের সমন্বয়ে রান্না করে খেতে পারেন। আর রান্না করতে হবে অবশ্যই অতি অল্প তাপে।
সবার আগে একটু সালাদ খেয়ে নিবেন। ভালো পুষ্টির জন্য কাচা ও রান্না উভয়ই খেতে হবে। তার মানে যেকোনো রোগ হলেই আপনি সব খাবারই খেতে পারবেন, তবে আপনাকে খাবারের উপাদানগুলো সঠিকভাবে পছন্দ করতে হবে।
যারা বিভিন্ন স্বাস্থসমস্যায় ভুগছেন, তরা হেলথ গাইডলাইনগুলো শুনে, ভালো করে বুঝে এবং পালন করলে ঔষধ নির্ভরশীলতা কমিয়ে একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। অধ্যাপক ডা. মজিবুল হক