
স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল চুল
স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল চুল দেখতে যে কাউকে সুন্দর দেখায়। মানুষের কাছে এটি অনেকটাই মূখমন্ডলের অলঙ্কারের মত। কিন্তু মানুষের চুল পড়ে যাওয়া শুরু করলে তারা উদ্বিগ্ন হয়। চুল পড়া শুরু হলে মানুষ মনে করে তাদের দেখতে কুৎসিত দেখায়। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিদিন ১০০ চুল পড়া খুবই ন্যাচারাল। কারণ শরীর থেকে দূর্বল চুল পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। শরীর ভালো করেই বুঝতে পারে দূর্বলগুলো পড়ে গিয়ে সেখানে অধিক শক্তিশালী চুল গজায়।
সুতরাং চুল পড়া নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে নিজেদের খাবার, লাইফস্টাইল ও চুলের যত্নে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। জীবনে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার সাথে নৈকট্য অপরিহার্য।
এবার মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণসমূহ জানা যাক।
মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ার অন্যতম কারণ বংশগত তথা জেনেটিক। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করলে চুল পড়া কিছুটা কমানো যায়।
দ্বিতীয় কারণ শরীরে নানা উপাদানের ঘাটতি। যেমন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, ঠান্ডা ও সাইনোসাইটিস এবং নানা ধরনের ওষুধের কারণেও অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার তৃতীয় কারণ চাপ ও দুশ্চিন্তা। চাপ ও দুশ্চিন্তায় কারণে চুল পড়া বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই চুল পড়া রোধে চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকুন।
চুল পড়ার চতুর্থ কারণ খুশকি। যখন আমরা চুল পরিস্কার করার সময় খুশকির উপস্থিতি লক্ষ্য করব তখন নিশ্চিতভাবেই চুল পড়ছে।
পঞ্চম কারণ আর্টিফিশিয়াল কেমিক্যালের ব্যবহার। বিভিন্ন রংয়ের সাথে আর্টিফিশিয়াল কেমিক্যালের ব্যবহার দেখা যায়। উপরিউক্ত কারণসমূহের উপস্থিতির জন্য অতিরিক্ত চুল পড়ে।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে প্রথম করণীয় সুষম খাদ্য গ্রহণ। শরীরে কোনো খাদ্য উপাদানের ঘাটতির কারণে চুল পড়লে সুষম ডায়েটের মাধ্যমে তা রোধ হয়।
দ্বিতীয় করণীয় ফেসে এরিয়াতে সঠিক সঞ্চালন নিশ্চিত করা। এজন্য প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করা। শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়মিত ব্যায়াম করা।
আমলা পাউডার ও লেবু রস দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে মাখা।
চুল পড়া বন্ধে ম্যাজিকের মত কাজ করে চুলের অ্যালোভেরার ব্যবহার। অ্যালোভেরার জেল কাপে নিয়ে মাথায় লাগালে চুল অনেক সতেজ ও উজ্জল হয়।
চুল পড়া রোধে আরেকটি ন্যাচারাল উপাদন হলো curry leaves নারকেল তেল। দুটোর সংমিশ্রণ গরম করে ন্যাচারাল শ্যাম্পের মত চুলে ব্যবহার করলে বিস্ময়কর ফল পাওয়া যায়।
তাছাড়া হাতের আঙ্গুল দিয়ে প্রতিদিন মাথা মেসেজ করা, মাথার পিছন দিক থেকে চুরুনি দিয়ে উল্টা দিকে আচরানো খুবই উপকারী। এটি খুবই আরামদায়ক ও চুলের গোড়ায় সার্কুলেশনে সহায়ক।
বাটারমিল্ক অথবা দই চুলে ব্যবহারে খুশকি দূর হয়। সর্বোপরি রাতে ভালো ঘুম শরীরের জন্য অপরিহার্য। এটি চুল পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মূলত আপনি কেমন তা দেহের বাহ্যিকতায় নয়, বরং সুন্দর মন ও হাসি-খুশি আচণে মধ্যে তথা সর্বশক্তিমানের সাথে নৈকট্যে।