
সাফল্য
অনেকে জানতে চান জীবনে সফল হওয়ার উপায় কী? অনেকে বলেন জীবনে সফল হওয়া এত কঠিন কেন? তাদেরকে আমি বলি, জীবনে সফল হওয়াটাকে আপনি যতটা কঠিন মনে করেন; বাস্তবে সফল হওয়া ততটাই সহজ। সফলতা হলো ম্যারাথন, ছোট কোনো একটি স্টেপ নয়। সফলতা এমন নয় যে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম কিংবা নিচে নামলাম। সফলতা হলো পাহাড়ের নিচ থেকে চূড়ায় ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করা।
সফলতা বলতে যদি জীবনের ধ্রুব সাকসেসকে মনে করার মানসিকতা পোষণ করেন, তাহলে নিন্মোক্ত ৪টি নিয়ম সকল পর্যায়ে মেনে চলতে হবে।
১. পরিমিতভাবে সবকিছু করুন : পরিমিতভাবে সবকিছু করুন, এমনকি সংযমকেও। জীবনে সফলতার জন্য সর্বদা সংযমী থাকতে হবে। সংযমী হতে হবে কর্মে ও মানসিকতায়। ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য অবস্থান নিতে হবে যত্নের সাথে। মধ্যমপন্থা তথা ভারসাম্যতা জীবনে সফলতার মূল চাবিকাঠি।
২. বিশ্বাস রাখুন আপনার সম্ভাবনাগুলিতে, সীমাবদ্ধতায় নয় : শতভাগ মানুষও যদি বলে আপনি পারবেন না, সেক্ষেত্রেও নিজের সম্ভাবনার ওপর আস্থা রাখা। তারমানে এই নয় যে, আপনি অন্ধভাবে বলবেন, আপনার কাজটিই সব সময় ঠিক। এরমানে হচ্ছে আপনি যখন কোনো খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যান কিংবা কোনো কিছু ঠিকভাবে কাজ না করে, তখন নিজেকে অযোগ্য মনে করবেন না। আসল কথা হলো জীবনে ৯৯টি চ্যালেঞ্জের মুখেও নিজেকে এবং নিজের মানসিকতা দেখবেন সম্ভাবনার আলোকে, সীমাবদ্ধতায় নয়।
৩. মনে রাখবেন ব্যর্থতা অস্থায়ী : আমাদের অধিকাংশই বলে থাকেন, ব্যর্থতা হলো সফলতার বিপরীত। কিন্তু সত্য হলো ব্যর্থতা সফলতার বিপরীত নয়। এটি সফলতার অংশ। হ্যাঁ, জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে ব্যর্থতা অনুগ্রহ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। আপনাকে ব্যর্থ ব্যবসায়ী হতে হবে অধিক সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য। কারণ ব্যর্থতা আপনাকে শিক্ষা দেয়। আপনাকে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে সম্পর্ক আরো ভালো করার জন্য।
৪. সমালোচনার চেয়ে বেশি প্রশংসা করুন : সফলতার জন্য কাজকে নিজের মত করে নিতে হবে। যখন দেখবে তারা আপনার মত করছে না; তখন ভালোটার প্রশংসা বেশি করবেন, ভুল কম খুঁজবেন। ফলে দেখবে কত বেশি কাজ হচ্ছে এবং জীবনে কত বেশি অর্জন হচ্ছে। প্রশংসা আপনাকে জীবনে বেশি দিবে। তাই সমালোচনা বন্ধ করে সঠিকটা ফোকাস করুন। জীবনে সফলতার জন্য সকল ক্ষেত্রে নিয়ম ৪টি মেনে চলুন, আশা করি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।