
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫টি সেরা খাবার
বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধমান অন্যতম একটি রোগ ডায়াবেটিস। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪ সালে ১০৮ মিলিয়ন হতে ডায়াবেটিস রোগী বেড়ে ৪২২ মিলিয়ন হয়েছে। অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হওয়া, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, অঙ্গহানি, লিভার নষ্ট, চোখ নষ্ট, স্কিন নষ্ট, পুরুষালি শক্তি হারানো, এনার্জি না পাওয়া, দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে না পারা, নার্ভে ব্যথা, ব্রেইনের ফাংশন নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস।
রক্তের চিনির মাত্রা কমানো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম প্রাথমিক কাজ। আমাদের রক্তে চিনি প্রবেশের মূল মাধ্যম নানা রকমের চিনিযুক্ত খাবার। ফলে খাবার নিয়ন্ত্রণ রক্তের চিনি কমানোর অন্যতম উপায়।
আমরা ৫টি চমৎকার খাবারের কথা জানব যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
১. সবুজপত্রবিশিস্ট শাকসবজি : সবুজপত্রবিশিস্ট শাকসবজিতে ক্যালরি ও শর্করা কম থাকে। এগুলো রক্তে চিনির ভারসাম্য বজায় রাখে। সবুজপত্রবিশিস্ট শাকসবজি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় চিনিকে সঠিক মাত্রায় রাখে। পালং শাকের পাতা ও সঝিনা পাতা অবশ্যই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। সঝিনা পাতায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রমাণিত। সঝিনা পাতা এসকরবিক এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং চিনির মাত্রা কমায়।
২. আস্ত শস্যদানা : আস্ত শস্যদানা গ্রহণ করা। কোনোভাবেই রিফাইন না করে যেমন, লাল চাল, লাল গম, ভুট্টা ইত্যাদি।
৩. জাম : সব ধরনের বেরি, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাসবেরি, ব্ল্যাক। এগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এগুলোতে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ। তাছাড়া এগুলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তের সুগার লেবেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. বীজ : বিভিন্ন ধরনের বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এগুলোতে গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম থাকায় রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৫. লেবু জাতীয় ফল : লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কমলা এবং লেবু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। সবগুলোই ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত করে শর্করা ছাড়া।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপরিউক্ত ৫টি খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ খাবারসমূহ এড়িয় চলতে হবে। যেমন সাদা চাল, সাদা আটা, মিষ্টিকুমড়া, সাদা আলু, চিনিযুক্ত পানীয়, মিষ্ট কেক, পেস্টি, প্যাকেটজাত খাবার।
সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবুর পানি খাওয়া খুবই উপকারী। তাছাড়া সকল বিষয়ে খুতখুতে না হয়ে বিনয়ী ও ইতিবাচক মানসিকতা রাখা জরুরি। মানসিক প্রশান্তি থাকলে ডায়াবেটিসসহ অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।