
শিশু
নবজাতক শিশুর খাবার নিয়ে অনেক অভিভাবকরাই জানতে চান। নবজাতক শিশুর খাবারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রশ্ন হলো নবজাতক শিশুর কোন বয়সের খাবার নিয়ে আমরা আলোচনা করব। কারণ সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর খাবার আর ৬ মাস বয়সী শিশুর খাবার এক নয়। আবার ১ বছরের শিশুর খাবারের সাথে ২ কিংবা ৪ বছরের শিশুর খাবারের ভিন্নতা রয়েছে।
শুরুতেই আলাপ করা যাক সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর খাবার নিয়ে। প্রকৃতির নিয়ম হলো মা ও বাবা সুস্থ হলে সন্তান সুস্থ জন্ম নিবে। কিন্তু বর্তমানে খাবারসহ সর্বত্র ভেজালের যে অবস্থা, তাতে মা-বাবা স্বাস্থ্য সচেতন না হলে সুস্থ থাকার কথা নয়। ফলে অধিকাংশ শিশু সুস্থাবস্থায় জন্মায় না। অনেক শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ পায় না। কারণ সুস্থতার অভাবে অনেক মায়েরই বুকে দুধ আসে না। যার কারণে শিশুকে আর্টিফিশিয়াল খাবার খাওয়ানো হয়।
মায়ের বুকে দুধ না পেলে আর্টিফিশিয়ালল খাবার ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। আর এখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। তাছাড়া অধিকাংশ শিশুর জন্ম ন্যাচারালি না হয়ে সিজারে হচ্ছে। ন্যাচারালি বাচ্চার জন্ম হলে মায়ের ব্যাকটেরিয়া হয়ে আসে। পক্ষান্তরে সিজারের মাধ্যমে হাসপাতালের ব্যাকটেরিয়া হয়ে আসায় নানারকম সমস্যা হয়। এতে করে শিশুরা অটিজম, এলার্জি, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতিসহ নানাবিধ সমস্যায় ভুগে।
জন্মের পর শিশুদের সুস্থ মায়ের দুধ কমপক্ষে এক বছর খাওয়া উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২ বছর খাওয়ানো উচিত। অনেক সময় শিশুরা নিজে থেকেই মায়ের বুকের দুধ খাওয়া ২ বছরর আগেই ছেড়ে দেয়।
একটি শিশু সম্পূর্ণ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু দরকার মহান আল্লাহপাক মায়ের দুধে তা রেখেছেন। তবে মাকেও সেজন্য সুস্থ থাকতে হবে। মায়ের খাবারে ককোনাট ওয়েল থাকাটা জরুরি কোয়ালিটি শিশুর দুধ নিশ্চিত করার জন্য।
৬ মাস বয়স থেকে একটি ন্যাচারাল ফল লিকুইড করে দেয়া যায়। এর ২/১ মাস পর থেকে একটি করে আইটেম বাড়াতে হবে। এর লাল চালের ভাত নরম করে দিতে হবে। সাথে অল্প করে ২/৩ ফোটা ককোনাট ওয়েল দিতে হবে। এভাবে একটি ন্যাচারাল আইটেম বাড়াতে হবে। শিশুদের পেয়ে পরিবারের সবাই অনেক খুশি থাকে। তবে শিশু যদি জন্মের পর থেকে সুস্থ না থেকে বারবার অসুস্থ হয় তাহলে মা-বাবার মনে সেই খুশি বদলে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। তাই শিশুর সুস্থতার জন্য ১ বছর বয়স পর্যন্ত এগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।