প্রাথমিকের নতুন বিজ্ঞপ্তি
সহকারী শিক্ষক পদে জানুয়ারিতে প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এবার নতনকরে বিজ্ঞপ্তি আসছে মার্চে। তবে এবারের নিয়োগ কা্যক্রম সারা দেশে একযোগে না বিভাগভিত্তিক আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের জন্য শূন্য পদের সংখ্যা আনুমানিক সাড়ে সাত হাজার। তবে এ পদ সংখ্যা পরবর্তী সময় বাড়তে পারে। বিভাগভিত্তিক আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসব পদ পূরণ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি আসতে পারে আগামী ১ মার্চ (বুধবার)।
শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘২ থেকে ৩টি বিভাগকে একেকটি অঞ্চলে ভাগ করা হবে। এভাবে ৮টি বিভাগকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা হবে। প্রথম অঞ্চলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে পয়লা মার্চ। এরপর ৭ থেকে ৮ মার্চ আরেকটি অঞ্চলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
এক বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মাঝখানে কিছু সময় রাখা হচ্ছে ফলে প্রার্থীদের চাপ একবারে পড়বে না। ফলে বুয়েটের কারিগরি সহযোগিতায় দ্রুত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, কোনো বিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা উল্লেখ থাকবে না। বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা আনুমানিক ৭৫০০ হলেও নিয়োগপ্রক্রিয়া চলাকালে আরও কিছু শিক্ষক অবসরে যাবেন। তখন শূন্য পদ বাড়বে। সেগুলো সমন্বয় করা হবে।
তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করতে সময় লাগে প্রায় ২ বছর। তবে এর মধ্যে ২৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি।
নিয়োগ বিধিমালায় কোটা নিয়ে যা আছে : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায় পূর্বের মতো কোটা পদ্ধতি মেনে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক পদে ৬০% নারী কোটা, ২০% পোষ্য কোটা ও ২০% পুরুষ কোটা। এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০% বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে ৩ কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
তাছাড়া প্রাথমিকের নিয়োগে প্যানেল করার সুযোগ নেই বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
