রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার

অর্গানিক সার

অর্গানিক সার

ছাদ বাগান বা টবে চাষাবাদ করতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্গানিক সার।

নাইট্রোজেনের ঘাটতি পুরণ করতে চাল বা ডাল ধোয়া পানি দিন। ভাতের মাড় পানি মিশিয়ে পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিন। চা পাতার গুড়ো শুকিয়ে দিতে পারেন।

ক্যালসিয়ামের অভাব পুরণ করে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা গুরো করে দিয়ে দিন। খাবার চুনের পানিও ক্যালসিয়াম এর অভাবে দিতে পারেন। বহু যুগ ধরেই বিশ্বের সব দেশে গাছের নাইট্রেট সারের সহায়ক হিসেবে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে আসছে ডিমের খোসা। অকালে কুঁড়ি, ফুল, ফল ঝরে পড়া রোগে ও অপুষ্টির জন্য বাগানে গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা দেন সবাই। ডিমের খোসা টুকরা করে ছড়িয়ে রাখলে পাতা খেয়ে ফেলা ল্যাদা পোকা, স্লাগ, শামুকের হাত থেকে গাছ রক্ষা পায়।
এ ছাড়া ইদানীং ডিমের খোসায় করে এক অভিনব বীজতলার প্রচলন হয়েছে সারা বিশ্বে। ডিমের বাক্সেই ডিমের খোলায় সার মেশানো অল্প ভেজা মাটি দিয়ে বীজ বপন করা হয় এই ব্যবস্থায়। এ ক্ষেত্রে গজিয়ে ওঠা চারা, ডিমের খোসাসহই রোপণ করে দেওয়া যায়। এতে স্থানান্তরের সময়ে নতুন চারার কোনোরূপ ক্ষতি হয় না, বরং ডিমের খোসার পুষ্টি বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকে। সারা বিশ্বে প্রতিদিন যে বিশালসংখ্যক ডিম আমরা খাই, তার খোসাগুলো ফেলে না দিয়ে এসব বিকল্প ব্যবহার করতে পারলে তা আমাদের জন্য খুবই উপকারে আসবে। বিকল্প খাদ্য উৎস, পুনর্চক্রায়ন বা রিসাইক্লিং, ময়লা–আবর্জনার স্তূপ ও পরিবেশদূষণ কমিয়ে আনা, যে আঙ্গিক থেকেই দেখি না কেন, সময় এসেছে ডিমের খোসা ময়লার ভাগাড়ে ফেলার আগে একবার ভেবে দেখার।

বাগানের ছাটাই কৃত লতাপাতা ছাদের এক অংশে শুকিয়ে গুড়ো করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবেন এটা খুব ভাল কাজ করে আবার কোন গন্ধ ও হবে না।

পটাশিয়াম এর ভাল উৎস হচ্ছে কলার ছোলা, পেয়াজের খোসা। খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে কলার খোসা। কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। সেগুলো মাটির নিচে পুঁতে দিন। খোসা থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গাছের আশপাশে কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন। খোসা থেকে মাটি তৈরি হবে। এছাড়া কলার খোসা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানিটুকু গাছে দিন। গাছ দ্রুত বাড়বে।

পেঁয়াজের খোসা কিন্তু গাছের জন্য চমৎকার সার। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ সার তৈরি করতে এটি কাজে লাগতে পারে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজের খোসা দিলে গাছের উন্নতি হবে, ডালপালা শক্তিশালী হবে, ফল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে।

এছাড়া শাক সবজীর উচ্ছিষ্ট অংশ নিদ্রিষ্ট পাত্রে পানি সহ জমিয়ে ৭ দিন পর তরল স্যার হিসেবে ব্যবহার করলে আলাদা কোন রায়সানিক স্যার ব্যবহার করতে হবে না।

কীটনাশক হিসেবে নিমতেল, হলুদের গুড়ো, সাবান পানি নিয়মিত ব্যবহার করুন সব গাছে প্রতি ১৫ দিন পর পর। গাছে পোকা ধরুক আর না ধরুক। হ্যাপি গার্ডেনিং। শাহিদা লিমা

Leave a Comment