ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেই ভয়ে থাকেন। কিন্তু ডিম খেতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। নিশ্চিন্তে ডিম খেতে পারেন। এটিকে পূর্ণাঙ্গ খাবার বলা যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে, চোখ ও ব্রেইন ভালো রাখতে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকে ডিমের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ে আতঙ্কে ভুগেন। বাস্তবে ডিমের কোলেস্টেরল উপকারী। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। ডিমে রয়েছে ভালো ফ্যাট, ভিটামিন ও উপকারী আমিষ।
দিনে কয়টি ডিম খাবেন : শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ডিম খাওয়া যাবে। শরীর নিতে পারলে দিনে ৪/৫টি ডিম খেতে পারেন। কারো ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ২ বা ৩টিও হতে পারে। এটি নির্ভর করবে মূলত শরীরের ধারণক্ষমতার উপর।
কী ধরনের ডিম কিভাবে খাবেন : কোনোভাবেই ফার্মের মুরগির ডিম খাওয়া যাবে না। অর্গানিক তথা নিরাপদ ডিম খেতে হবে। নিরাপদ মুরগির ডিম হলো যেসব মুরগি নিজরাই নিজেদের খাবার খুঁজে খায়। এসব মুরগি পোকামাকড় কিংবা ঘাস খেয়ে থাকে। কেউ কেউ ডিমের কুসুম রেখে কেবল সাদা অংশ খায়। আল্লাহর দেয়া কোনো উপকরণই ক্ষতিকর নয়, যদিনা মানুষ তাকে দূষিত করে। ডিমের সাদা ও কুসুম দুই অংশই উপকারী। আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়া উত্তম। কম তাপে ডিম এমনভাবে সিদ্ধ করতে হবে যাতে ডিমের সাদা অংশ পাক হয় কিন্তু কুসুম নরম থাকে।
ডিমের সাথে সালাদ ও সবজি খেতে পারলে স্বাস্থ্যকর। সবজির ভিন্নতা যত বেশি তত উপকারী। সবজি রান্না হতে হবে কম তাপে অনেকটাই আধা সিদ্ধ।

ডিম