
হৃদরোগ
হৃদরোগ এবং হাই ব্লাড প্রেসারের জন্য দায়ী খাবারের বিষয়ে সমাজের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই চিজ, বাটার, দুধ, দধি, ঘি, মাখন এসবকে হৃদরোগ এবং হাই ব্লাড প্রেসারের জন্য দায়ী মনে করেন। কিন্তু অনেক বড় বড় গবেষণায় দেখা গেছে এসব খাবারে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে এবং এগুলোর মাঝে এমন উপাদান আছে যা খারাপগুলোকে পরিস্কার করে।
অনেকে মনে করে ভেজেটেরিয়ান হতে পারলেই অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম বাদ দিলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
অথচ আমেরিকান ভেজেটেরিয়ান সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হোম জে দিনশাহ নিজেই হৃদরোগ মারা গিয়েছেন। ভেজেটেরিয়ানরা মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি না খাওয়ায় অনেক উপকারী উপাদান থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছেন।
আবার অনেকে হৃদরোগকে মনে করছেন জেনেটিক। যেমন জাপনাকে বলা হয় একটা আইডিয়াল সোসাইটি। যেখানে হৃদরোগ খুবই কম। সেই জাপনিরাই যখন আমেরিকাতে এসে সেখানকার লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়, তারা বার্ধক্যে পৌঁছালে একই হারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তারমানে এটি কেবলি জেনেটিক নয়। একটা জিন বিস্তারের পরিবেশ না তৈরি হলে তার বিকাশ ঘটবে না। ইতালির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মায়েদের হাই ব্লাড প্রেসার, তাদের শিশু যখন মিসক্যারেজ হয়, তখন তাদের মধ্যে ব্লকেজ পাওয়া গেছে। এই বাচ্চারা হৃদরোগেই মারা গেছে। সুতরাং হৃদরোগ মানেই কেবল বয়স্কদের রোগ নয়।
একটি ১৪ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর আটলান্টায় এক গবেষণায় তার মধ্যে ব্লকেজ পাওয়া গেছে। আমরা যেসব এন্টিবায়েটিক খাই, প্রসেস ফুড খাই, প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাই যা কিনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্লাস্টিকের বোতলে পানিটা মূলত পলিকার্বন তথা ক্যান্সারাস ওয়াটার। আমাদের ভুলে কিংবা আমরা না জানার কারণে এতগুলো কেমিকেল আমাদের শরীরে জমা হয়। ফলে প্রদাহের জন্ম হয়। অথচ এটিকে না জেনে আমরা কেবল বড়লোকের রোগ বলছি। আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজি চিফ এডিটর ড. উইলিয়াম রবার্টস বলেছেন, কোলেস্টেরলকে রোগ মনে করা একটা মূর্খতা। মেডিকেলে পুষ্টির বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় ডাক্তারদের অনেকেই নন-কেমিক্যালকে সায়েন্টিফিক মনে করছেন না। কেমিখ্যাল যে ক্ষতি করছে এটিকে দেখা হচ্ছে না। এটিকে অজানা সাইডইফেক্ট বলে বাদ দেয়া হচ্ছে। অনেক ওষুধ প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করছে প্রসেস ফুড ও সফট ড্রিংকসের মতো ভয়ঙ্কর জিনিসকে।